মৌচাক থেকে আহরিত খাঁটি মধু :
“তার পেট থেকে এমন পানিও বের হয় যার রং ভিন্ন ভিন্ন যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময় নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে সে কর্মের জন্য যারা চিন্তা করে।” (সূরা নাহল ১৬:৬৯) ।”
মৌচাক হতে সংগ্রহ করা মধু সযত্নে পৌঁছে দেই আপনার পরিবারের কাছে ।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু (Natural Honey) এর চাহিদা বরাবরই ভিন্ন।
খাঁটি মধু বলতেই সবার আগে এর কথাই মাথায় আসে।
কাহ্ফ যাত্রার শুরু থেকেই আপনাদের জন্য সেরা মানের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে, যার মধ্যে মধু অন্যতম।
প্রাকৃতিক মধু বলতে বুঝায় মৌচাক কেটে সংগ্রহ করা মধু।
প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালরা সুন্দরবনের গহীনে চলে যায়।
বছরের বিভিন্ন সময় সংগ্রহ করা গেলেও ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস এর জন্য উৎকৃষ্ট সময়। মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে। সুন্দরবনের মধুতে খলিসা ফুলের নির্যাস বেশি থাকে। এই মধু অনেক পাতলা এবং সুস্বাদু হয়।
তবে একটু পুরনো হয়ে গেলে খানিকটা গন্ধ নাকে আসতে পারে।
এক্ষেত্রে হালকা তাপ দিলে এই গন্ধ দূর হয়ে যায়।
নকল ও ভেজাল মধু চেনার উপায়:
১। সব মৌসুমে সারা বছর মধুর স্বাদ ও ঘ্রাণ প্রায় একই থাকে যা খাঁঁটি মধুর ক্ষেত্রে হয় না।
২। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষারা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায়।
৩। এতে পোলেনের উপস্থিতি পাওয়া যায় না।
প্রাকৃতিক মধু চেনার কিছু পরীক্ষা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা:
১। অনেকে পানিতে এক ফোঁটা মধু দিয়ে পরীক্ষা করেন।
মূলত মধুর আপেক্ষিক গুরুত্ব পানি অপেক্ষা বেশি থাকায় এটি পানির নিচে জমা হয়ই। কিন্তু অনেকের ধারণা মধু পানিতে ঢাললে যদি সটান নিচে চলে না যায় তবে সেই মধু খাঁটি নয়। কিন্তু মধু কীভাবে নিচে জমা হবে তা নির্ভর করে এর ময়েশ্চারের উপর। সাধারণত সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুতে ময়েশ্চার বেশি থাকায় এটি পানিতে দিলে একটি বিক্ষিপ্ত হয়ে এরপর তলানিতে গিয়ে জমা হয়।
২। আগুন জ্বালিয়ে মধুর বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
কিন্তু আসল মধু ও নকল মধু উভয়ই আগুনে জ্বলে।
৩। নকের উপর রাখলে গড়িয়ে পরে কি না সেইটার ভিত্তিতেও অনেকে পরীক্ষা করে থাকেন। এক্ষেত্রেও মধুর ময়েশ্চারের উপর নির্ভর করে।
মধুর ময়েশ্চার বেশি হলে গড়িয়ে পরবে। এর মাধ্যমে আসল বা নকল চিহ্নিত করা যায় না।
৪। মধুতে পিঁপড়া উঠবে না – এমন এক ধরনের কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু খাঁটি মধুতেও পিঁপড়া উঠে।
৫। খাঁটি মধু জমে যাবে না – এমন একটি ধারনা প্রচলিত আছে যা মূলত ভুল ধারণা। বরং মধু জমে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। একে মধুর স্ফটিকাকায়ন বলা হয়। এর ফলে মধুর স্বাদ গন্ধে কোনরূপ পরিবর্তন আসে না।
তাই নিশ্চিন্তে কাহ্ফ থেকে আপনার পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ সুন্দরবন মধু নির্দ্বিধায় নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ।